নাম বললে চাকরী থাকবেনা- ছোট্ট এই বাক্য দিয়ে স্বাধীন বাংলার বহু মানুষকে পরাধীন করে রাখা মহিরুহ রুপ ধারণকারী ফ্যাসিবাদ সরকারের সব দোসরা এখন লোক চক্ষুর অন্তরালে। ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদ সরকারের সব দম্ভ দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে ২৪ এ ছাত্র জনতার বিপ্লব ঘটেছে। কিন্তু যে বৈষম্যের দেয়াল ভাঙতে শিক্ষার্থীদের এত এত জীবন গেল তার কি আদৌ কোন পরিবর্তন হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময় এসেছে।
মেহেরুন সারা মনসুরের কথাই ধরুন। যিনি ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের নেকলেস ব্যবহার করেন। ১০ হাজার মার্কিন ডলারের নিচে কোন ব্যাগ ব্যবহার করেন না। তার প্রতিটি ব্যবহার্য জিনিসপত্র বিদেশী। দুবাইয়ে রয়েছে আলিশান অ্যাপার্টমেন্ট। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিলাসবহুল জীবন যাপনের প্রমান রেখেছেন প্রতিনিয়ত।
এই পর্যন্ত জানার পর আপনাদের যাদের চোখ কপালে উঠছে তাদের একটু পেছনে ফেরাতে চাই। ২০২০ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর গুলশানের হর্স এন্ড হর্স রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বিদেশী মদ মাদক জব্দ করেছিলো মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর। সেই রেস্টুরেন্সের আড়ালেই চলতো অবৈধ মদের বার।
এই ঘটনা এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক মনে হলেও এবার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত একটি তথ্য দেই। এতক্ষন যে নারীকে আপনাদের সামনে উপস্থান করা হলো তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের মেয়ে মেহেরুন সারা মনসুর। সে সময় রেস্টুরেন্টে অভিযানের পর পরই মেয়ের পক্ষে সরব হয়েছিলেন আহসান এইচ মনসুর। যা প্রকাশ করেছিলো বেশকিছু গণমাধ্যম।
অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে মামলা থেকে সরিয়ে দেন। এই মেহেরুন সারা মনসুর দুবাই, লন্ডন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বড় বিণিয়োগ করেছেন বলেও নিজের প্রফাইলে উল্লেখ করেন । প্রশ্ন আসতেই পারে সারা বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থের মূল উৎস কোথায় ?