সীমান্ত হত্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং পানিবণ্টন সমস্যার পাশাপাশি গণহত্যার দায় নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের এক অধিবেশনে এসব বিষয়ে কথা হয় দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের।
বিভিন্ন ইস্যুতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আলোচনার শেষ দিকে বাংলাদেশি এক আলোচক শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চান, প্রায় দেড় হাজার মানুষের হত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশের এখন কী করা উচিত?
এর জবাবে ভারতীয় একজন আলোচক কয়েকটি বিষয়ে বললেও শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলেননি।
পরে এ প্রসঙ্গ আবারও ওঠে। বাংলাদেশি আরেক আলোচক বলেন, একজন স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত সরকারের প্রতিনিধি তাকে রিসিভ (গ্রহণ) করেছে, এমনটি তিনি আগে কখনো দেখেননি।
এ পর্যায়ে ভারতীয় ওই আলোচক বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকার এখনও ফেরত চায়নি। তাকে ফেরত দিতে প্রসিডিউর ফলো করা উচিত।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জটিলতার গতিপথ’ শীর্ষক এ অধিবেশনটি আয়োজন করা হয়।
অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রিয়াজ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, চাকমা সার্কেল প্রধান রাজা দেবাশীষ রায়, যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নবীন মুর্শিদ প্রমুখ।
ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক সেনা কমান্ডার অরুণ কে সাহনি, ভারতের ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল স্টাডিজের সভাপতি অশোক সজ্জনহার, ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত, দ্য হিন্দু পত্রিকার কূটনৈতিক সম্পাদক সুহাসিনী শেরিন হায়দার।
অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো পারভেজ করিম আব্বাসী।
উল্লেখ্য, শনিবার বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বছরের সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশগ্রহণকারী যোগ দেন।