ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় কেমন হবে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক?

Reporter Name / ১২ Time View
Update Time : শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের মসনদে আবারও ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিহাস গড়ে হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার জয়ের পর থেকেই অনেক দেশেই শুরু হয়েছে আলোচনা, কেমন হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন আলোচনার বিষয় সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেমন হবে।

যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে অনেক টানাপোড়ন লক্ষ্য করা গেছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বক্তব্যেও তা প্রকাশ পাচ্ছিলো।

তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে অনেকটাই উষ্ণতা দেখা গেছে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট নেতাদের সম্পর্ক বরাবরই বেশ ভালো। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন যে শুধু ডেমোক্র্যাট না, রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের সঙ্গেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুসম্পর্ক রয়েছে। তার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সর্ম্পক আরও উচ্চ শিখরে পৌঁছাবে।

এরপরও একটি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের মাঝে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা?

ট্রাম্প প্রশাসনকে নিয়ে যেসব কারণে সংশয়

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের ওপর রাতারাতি কোনো প্রভাব না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে গিয়ে পড়বে। সেইসাথে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভালো সম্পর্ক নয়।

এর কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায় ২০১৬ সালে ফিরে গেলে। তখন রিপাবলিকান পার্টি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ওই বছরই ফ্রান্সের এইচইসি প্যারিস নামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখার সময় ইউনূস ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়কে ‘সূর্যগ্রহণ’ বা অন্ধকার সময় হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।

তবে সেসব পুরোনো কথা। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার এক চিঠিতে তিনি বলেন যে দুই দেশের অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে ও টেকসই উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ রয়েছি।

বাংলাদেশে কেমন প্রভাব পড়বে?

অধ্যাপক আলী রীয়াজের মতে, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে হঠাৎ নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে যাবে বলে তিনি মনে করছেন না। কারণ এটিকে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোণ থেকে বিবেচনা করতে হবে যে মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা।

তবে তিনি এটিও বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে একটা বড় ধরনের প্রভাব পড়বেই, এতটা ঘনিষ্ঠতা থাকবে না। উষ্ণতা থাকবে না।

কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের মতো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক হসটাইল বা টেন্সড রিলেশনশিপে (বৈরি সম্পর্ক) ফিরে যাওয়ার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না রীয়াজ।

বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীনেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আলী রীয়াজের ভাষায়, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কালো মেঘ চীন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *