দ্রুতই ভোক্তা অধিকার আইনকে আরও বেশি শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার আইন সংশোধনের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই কমার্স মিনিস্ট্রির অনারেবল অ্যাডভাইজারের সঙ্গে কথা বলেছি, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। খুব দ্রুতই ভোক্তা অধিকার আইনকে আরও বেশি শক্তিশালী করা হবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) আয়োজিত ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা দ্রব্যমূল্যের যে সমস্যাটা প্রতিবছরই দেখি সেটা লাঘবে আমরা সফল হব বলে আশা রাখছি।
তরুণদের উদ্দেশে আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে কৃষকের মার্কেটটা অনেক বড়। জিডিপির প্রায় ১৫ শতাংশ। এটা ব্যবসার জন্য ভালো সুযোগ। যারা এটা নিয়ে কাজ করতে চাইবে তাদের নিজেরও উন্নতি হবে একই সঙ্গে জনকল্যাণেও কাজে আসবে।
তিনি বলেন, তরুণদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা কৃষি সেক্টরে এগিয়ে আসবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব রকম সহযোগিতা করা হবে। কোনো বাধা আসলে সরকার তা মোকাবিলা করবে।
সম্মেলনে সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, কোনো ফান্ডের টাকা দিয়ে নয়, নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) স্বেচ্ছাসেবীরা।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সিসিএস। ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে।
পলাশ মাহমুদ বলেন, ভোক্তা অধিকারের জনবল অনেক কম। এমন অনেক জেলা আছে যেখানে মাত্র এক থেকে দুজন দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যার ফলে ঠিকমতো কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমন পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
‘আমরা চাই, ভোক্তা অধিকারকে আরও শক্তিশালী করা হোক। মোবাইল কোর্ট করার মতো ক্ষমতা দেওয়া হোক। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই ভোক্তা অধিকারে জনবল বৃদ্ধি করা হোক।’
এর আগে সকাল ৯টা থেকে এই সম্মেলন শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনে ১০ সাংবাদিককে ‘ভোক্তা অধিকার সাংবাদিকতা পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।
এ ছাড়াও এই সম্মেলনে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি প্রায় ৫০টি জেলা ও ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাছাইকৃত ভোক্তা সংগঠকরা অংশ নেন।