নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। এটি বেহেশতের চাবি। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। এটি আদায়ের রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। এ নীতিমালার আলোকেই নামাজ আদায় করতে হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
অনেকে জানতে চান, দুই সিজদার মাঝে কি দোয়া পড়বে?
এর উত্তর হাদিসে এসেছে, দুই সিজদার মাঝে নির্ধারিত দোয়া রয়েছে। দুই সিজদার মাঝে যখন বসবে তখন, ‘রাবিবগ ফিরলি’ শুধু এটা পড়বে না হয় পড়বে:
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى وَارْحَمْنِى وَعَافِنِى وَارْزُقْنِى
(উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগ ফিরলি ওয়ার হামনী ওয়া আফিনী ওয়ার জুকনী)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার ওপর রহম করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন। (তিরমিজি: ২৮৪)
হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ সুনানে নাসায়িতে দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে ‘রাবিবগফিরলি’ দোয়াটি পড়ার কথা এসেছে। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে তা পড়তেন। (সুনানে নাসায়ি: ১/২৯)
ফজিলতপূর্ণ এ দোয়াগুলো ইমাম-মুকতাদি সবার জন্য নফল-ফরজ সব নামাজেই পড়া উত্তম। আর নফল ও তাহাজ্জুদে উপরোক্ত দোয়া ছাড়াও আরও কিছু দোয়া পড়ার কথা হাদিস শরিফে এসেছে। যেমন: রুকু থেকে উঠে নিম্নোক্ত দোয়াগুলো পড়ার কথা হাদিসে এসেছে।
এ দোয়াটি দুই সিজদার মাঝে পড়া মুস্তাহাব। ফরজ বা ওয়াজিব কিংবা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নয়। তাই এটি ছেড়ে দিলে কোনো গোনাহও হবেনা। বা নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। এ দোয়াটি একাকী নামাজ পড়ার সময়, কিংবা নফল নামাজ পড়ার সময়, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় পড়া উত্তম।
ইমামের জন্য এ দোয়াটি পড়া তখন জায়েজ হবে, যদি এতটুকু পরিমাণ দেরি করলে মুসল্লিদের মাঝে বিরক্তি না আসে তাহলে তার জন্য পড়া জায়েজ। অন্যথায় জায়েজ নয়।