বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন ইস্যুতে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। এ দূরত্ব ঘোচাতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় বিশ্লেষকদের কেউ কেউ উপদেষ্টা পরিষদে আরও ছাত্র প্রতিনিধি নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলেন, ছাত্রদের মতামতকে প্রাধান্য না দিলে অস্থিরতায় পড়বে সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরামর্শ অনুযায়ী গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। শুরু থেকেই চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে নানা ইস্যুতে ইউনূস সরকারকে পরামর্শ দিয়ে আসার কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস না পেরুতেই রাষ্ট্রপতির অপসারণ, নতুন করে আরও তিনজনকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ ও আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসহ কয়েকটি ইস্যুতে অসন্তোষ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
মাহিন সরকার বলেন, কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে বিরোধিতা করা যায় এবং আমরা সেটা করছি। তবে সর্বশেষ ঘটনাগুলো অবশ্যই ভাবার মতো।
মাহিম সরকার আরো জানান, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবেন না তারা।
তিনি বলেন, এই সরকারকে ব্যর্থ করে দেয়ার মতো অবস্থানে আমরা যাবো না। সেটা আমাদের উদ্দেশ্যও নয়। কারণ, এটি জাতীয় ঐক্যমতের সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ বলছেন, ছাত্রদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়লে অস্থিরতায় পড়বে অন্তর্বর্তী সরকার, এজন্য উপদেষ্টা পরিষদে আরও ছাত্র প্রতিনিধি নেয়ার পরামর্শ তার।
তিনি বলেন, যারা জীবন দিলো বা যারা সেক্রিফাইস করলো ওই অংশের মধ্যে কিন্তু কোনো প্রতিনিধি নাই। ওখান থেকে একটু বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়া প্রথম সারির যেকজন আছে এখান থেকে একটু বাড়ানো যেতে পারে।
এ বিশ্লেষকের মতে, দূরত্ব ঘোচাতে উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ৩ ছাত্র প্রতিনিধিকে কাজে লাগাতে পারে সরকার।
‘এই তিনজনকে বলা উচিৎ যে, তোমার ওদের ক্ষোভের কারণ খুঁজে বের করো। তাদের ক্ষোভগুলো সমাধান করার চেষ্টা করো। তাদের প্রতিনিধি হিসেবেই তো তারা গেছে সেখানে।’ বলেন তিনি।
ছাত্র-সরকারের দূরত্ব ঘুচিয়ে সরকার স্থির না হলে রাষ্ট্র গঠন বাধাগ্রস্ত হবে বলে মত এই বিশ্লেষকের।