সিন্ডিকেট আর মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে মুন্সীগঞ্জে বেড়ে গেছে আলুর দাম; প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। পাইকারদের অভিযোগ, পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে হিমাগারকেন্দ্রিক সিন্ডিকেট। পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও রেকর্ড দরে আলু কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
মুন্সীগঞ্জে সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে আলুর দর। খুচরা বাজারে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। হিমাগার গেট, পাইকারি ও খুচরা দামেও রয়েছে বড় তফাৎ। হিমাগার গেটে ৫৬ থেকে ৬৩ টাকা ও পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৬৩ থেকে ৬৮ টাকায়।
তবে গত বছরের এ সময়ে খুচরা বাজারে আলুর দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এমন দাম বাড়ার জন্য খুচরা বিক্রেতারা দায়ী করছেন পাইকারদের। আর পাইকাররা দুষছেন হিমাগার সিন্ডিকেট তথা মজুতদারদের।
অভিযোগ রয়েছে, আলুর বেশির ভাগই এখন বড় মজুতদারদের হাতে। এছাড়া, সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা এবং ঢিলেঢালা বাজার মনিটরিংয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন ভোক্তারা। পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও অস্বাভাবিক দামে ক্ষুব্ধ তারা।
ভোক্তারা জানান, মজুত করে বাজারে আলুর দাম বাড়াচ্ছে সিন্ডিকেটকারীরা। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে থামবে না বাজারের অস্থিরতা।
বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জানান, আলুর বাজার এখন মজুতদার সিন্ডিকেটের হাতে। কারণ ছাড়াই ফোনে ফোনে দর নির্ধারণ করছেন তারা। তারপরও চলছে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।
মুন্সীগঞ্জের জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সামির হোসেন সিয়াম বলেন, ফোনে ফোনেই মজুতদাররা আলুর দাম নির্ধারণ করছেন। ফলে তাদের নির্ধারিত দামেই সারা দেশে বিক্রি হয় আলু। এতে বাজারে বাড়ছে দাম। তবে এর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত মৌসুমে জেলায় ১০ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। আর এবার ৩৪ হাজার ৬৬৫ হেক্টরের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন মৌসুমের আলু রোপণ।