নিজস্ব প্রতিবেদক,
তারা বলছেন, নতুন এ সুবিধা তাদের যাত্রা আরও আরামদায়ক ও নিরাপদ করবে। তবে বিশেষ লাউঞ্জ চালু হলেও, ঢাকার এয়ারপোর্টে এখনও যাত্রী হয়রানি কমেনি বলে অভিযোগ করেন কোনো কোনো প্রবাসী।
এক সৌদি প্রবাসী বলেন, বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে লাগেজ পেতে অনেক লেট হয়। অনেক সময় ব্যাগেজ কাটা পড়ে, মালামাল পাওয়া যায় না। এ দিকটায় বাংলাদেশ সরকার যেন একটু নজর দেয়।
এখনও ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা চেকপোস্টে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হওয়া ছাড়াও দীর্ঘ অপেক্ষা, টিকিটের বাড়তি মূল্য এবং সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আরেক প্রবাসী বলেন, প্রবাসীদের জন্য লাউঞ্জে খাবারের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশ সরকারকে অনেক ধন্যবাদ। প্রবাসীদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা যেন বাড়ানো হয় এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রবাসীদের আহ্বান, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের যে কোনো সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হলে; ঢাকা বিমানবন্দর আরও উন্নত এবং আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠবে।
প্রঙ্গত, সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রবাসী শ্রমিকরা দেশ গড়ার কারিগর। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে তারা বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমরা তাদের কাছে সবসময় কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই লাউঞ্জ তাদের ভ্রমণকে সহজ করবে।’
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এটিই প্রথম প্রবাসী লাউঞ্জ। এখানে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য জায়গা এবং সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে। এতে ভর্তুকি দেবে সরকার।