আমুর পালিত মেয়ে কে এই সুমাইয়া

Reporter Name / ১০ Time View
Update Time : শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর পালিত মেয়ে সুমাইয়া হোসেন বর্তমানে ঝালকাঠিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। নিঃসন্তান আমু অনেক বছর আগে তার শ্যালিকা মেরী আক্তারের মেয়ে সুমাইয়াকে দত্তক নেন।

সুমাইয়া বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করেন। তিনি দুবাই প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। অবৈধ পন্থায় আয় করা শতকোটি টাকা ওই মেয়ের কাছে পাঠিয়েছেন আমু।

জানা গেছে, আমির হোসেন আমুর অবৈধ সম্পদ দেখাশোনা করতেন তার ভায়রা ও সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ফখরুল মজিদ কিরন। তিনি আবার সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূনের ভাই। তারও এপিএস ছিলেন কিরন। আমুর শ্যালিকা মেরী আক্তার ও কিরন দম্পতির কন্যা সুমাইয়াকে দত্তক নিয়েছিলেন নিঃসন্তান আমু। এই সুমাইয়া ও কিরনের কাছেই আমুর অবৈধ আয়ের অধিকাংশ গচ্ছিত রাখা। সুমাইয়া বর্তমানে স্বামীসহ দুবাই প্রবাসী। সেখানে হুন্ডিসহ নানা উপায়ে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন আমু। এমন তথ্য জানান তারই ঘনিষ্ঠজন।

পরিচয় না প্রকাশের শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, এমন কোনো সেক্টর নেই যেখান থেকে টাকা পেতেন না আমু। সব টাকাই নগদে পৌঁছাত তার কাছে। লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন ভায়রা ফখরুল মজিদ কিরন। এই কিরনও ছিলেন একটি রহস্যময় চরিত্র। শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে আমুর এপিএস ছিলেন কিরন। সর্বশেষ সরকারে আমুকে মন্ত্রী করা না হলেও তার সংস্পর্শেই থেকে যান তিনি। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো আমুর পাশাপাশি সদ্য সাবেক সরকারে দায়িত্ব পালন করা শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুনেরও এপিএস ছিলেন কিরন।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, আলোচিত এই কিরনের বাড়ি ঢাকা বিভাগের নরসিংদী জেলায়। সর্বশেষ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুনের আপন ছোট ভাই কিরন তার নিজের এলাকা বাদ দিয়ে পড়ে থাকতেন ঝালকাঠি। কেবল সম্পদ ভাণ্ডারের দেখাশোনা আর পার্সেন্টেজ আদায় নয়, নির্বাচনী এলাকায় আমুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও দেখাশোনা করতেন তিনি।

পরিচয় না প্রকাশের শর্তে নলছিটি উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমুর সঙ্গে দেখা করতে হলে অনুমতি নিতে হতো কিরনের। উন্নয়নমূলক সব কাজের ভাগ-বাটোয়ারা করতেন তিনি। তার কথার বাইরে বলতে গেলে এক পাও চলতেন না আমু। পরিস্থিতি এমন ছিল কিরন যেন ছিলেন আমুর ছায়া। এই কিরনের মাধ্যমেই নির্বাচনী এলাকা থেকে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন আমু। যার প্রায় পুরোটাই এখন দুবাইতে তার মেয়ে সুমাইয়ার কাছে আছে বলে ধারণা সবার।

এসব ব্যাপারে জানতে আমু ও কিরনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি কাউকে।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, সাবেক এমপির বাসা থেকে পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। টাকা জমা আছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *