যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের এই জয়ের ঢেউ এসে লেগেছে শত শত মাইল দূরের ভারতের একটি গ্রামে। অন্ধ্রপ্রদেশের এই গ্রামের মানুষ কেন উদ্যাপন করছে ট্রাম্পের বিজয়?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
এর পেছনে একটি কারণ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’ যিনি হতে যাচ্ছেন তিনি তাদেরই আপন একজন। তিনি সফল আইনজীবী ঊষা ভ্যান্স। ট্রাম্পের রানিং মেট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী। তিনি একজন ভারতীয় অভিবাসী।
৩৮ বছর বয়সি ঊষা ভ্যান্স যখন ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোর শহরতলিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বড় হচ্ছিলেন তখন ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে তার পৈতৃক পূর্বপুরুষদের গ্রামে অনেকে তার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক তখনও উদ্যাপন করেছেন তারা। ভেবেছেন এই সম্পর্ক তাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে ভবিষ্যতে।
উষার পরিবার তেলেগু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। ১৯৮০ এর দশকে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে স্থানান্তরিত হয় তার পরিবার। তিনি সান দিয়েগোর উচ্চমধ্যবিত্ত র্যাঞ্চো পেনাস্কুইটস শহরতলিতে বেড়ে ওঠেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের গ্রামবাসীরা ট্রাম্পের জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন। হিন্দু পুরোহিত আপ্পাজি বলেন, তিনি আশা করেন এর বিনিময়ে উষা ভান্স তাদের জন্য কিছু করবেন।
‘আমরা আশা করি তিনি আমাদের গ্রামের জন্য সাহায্য করবেন’- হিন্দুদের হাতি-মাথাযুক্ত দেবতা গণেশের মূর্তির কাছে ট্রাম্পের জন্য একটি মোমবাতি জ্বালানোর পরে এই কথা বলেন ৪৩ বছর বয়সি পুরোহিত।
‘যদি তিনি তার শিকড়কে চিনতে পারেন এবং এই গ্রামের জন্য ভাল কিছু করতে পারেন, তবে সেটি দুর্দান্ত হবে’, বলেন তিনি।
‘প্রত্যেক ভারতীয়- শুধু আমিই নয়, আমরা সবাই ঊষাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। কারণ সে ভারতীয় বংশোদ্ভূত’, বলেন ৭০ বছর বয়সি গ্রামবাসী ভেঙ্কটা রামানায়ে।
‘আমরা আশা করি তিনি আমাদের গ্রামের উন্নয়ন করবেন’, বলেন তিনি।
তবে তিনি কখনও গ্রামে আসেননি। পুরোহিতের ভাষ্যে,তার বাবা প্রায় তিন বছর আগে এখানে এসেছিলেন এবং মন্দিরের অবস্থা পরীক্ষা করেছিলেন।
কিন্তু প্রায় ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের থুলসেন্দ্রপুরমের গল্পটি আলাদা। এখানে একসময় কমলা হ্যারিসের দাদার বাড়ি ছিল। কমলার পূর্বপুরুষরাও এই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরেছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা।