চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্য যাত্রা পিছিয়ে গেল। স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও ভিসা পাওয়ার পরও শারীরিক অবস্থার কারণেই চিকিৎসকদের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এম এ মালেক।
নাহিদ পারভেজ,
উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার (৮ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা ছিল বেগম খালেদা জিয়ার। তবে পিছিয়ে গেল দিনক্ষণ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি সময় সংবাদকে জানিয়েছেন, স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও ভিসা পাওয়ার পরও বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে দেখার অপেক্ষায় আছেন তারেক রহমানসহ পুরো পরিবার। যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরাও দলীয় নেত্রীর অপেক্ষায় আছেন।
৭৯ বছর বয়সি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে সবশেষ ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ‘প্রথমে তাকে লন্ডনে নেয়া হবে। সেখানে স্টেওভারের পরে মাল্টি ডিসেপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টার যে দেশে রয়েছে, সেখানে নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও তার কার্যালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ম্যাডামের সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্মীয়-স্বজন যারা যাবেন তা জানানো হয়েছে। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভারট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র দু-একটি সেন্টার রয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’