আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সিপাহি-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল।
নাহিদ পারভেজ,
৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর অভ্যুত্থান আর পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন ওইসময়ের উপ সেনাপ্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে থাকা তৎকালীন সেনা কর্মকর্তারা দিনটিকে স্মরণ করে বলেন, ৭ নভেম্বর অভ্যুত্থানে পূরণ হয়েছিল রাজনৈতিক শূন্যতা।
এদিকে, বিএনপি এই ঘটনাকে সিপাহী-জনতার বিপ্লব হিসেবে অভিহিত করে। সেইসঙ্গে ৭ নভেম্বরকে আবারও জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি করে আসছে বিএনপি।
চলতি বছরের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতা-সেনার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের। মানুষ মুক্ত হয় ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
জিয়াউর রহমানের সহযোদ্ধারা মনে করেন, ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান পরবর্তী অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এগুতে পারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার।
এইদিকে ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনটি স্মরণে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দল কর্মসূচি পালন করবে। বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরস্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপি’র পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করা হবে।
এ ছাড়া দিবসটি ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।