ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দেশটির একাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এরই মধ্যে হামলার সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এ অবস্থায় ইরানের বিমান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকলেও ফ্লাইটগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমানবাহিনী গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির স্থাপনায় আঘাত করেছে। এসব স্থাপনায় তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই ইরান ইসরাইলে হামলা চালিয়েছিল। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের নাগরিকদের জন্য সরাসরি ও তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করেছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে দেশের সব বিমানবন্দর বন্ধের ঘোষণা দেয় ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (সিএও)। তবে ইসরাইলি হামলা সমাপ্তি ঘোষণার পর বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।
সিএও’র মুখপাত্র জাফর ইয়াজারলু ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সব ফ্লাটটি পুনরায় চালু হয়েছে।
তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা অন্যান্য বিমানবন্দর কোনো হামলার শিকার হয়নি বলেও সিএও’র মুখপাত্র জানান।
এর আগে ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সমস্ত রুটের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে ইরানের রাজধানীতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দেশটির বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোরের দিকে তেহরানের পশ্চিমে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে এখন সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ইসরাইলি হামলার পর ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরানের আশপাশের আকাশসীমায় প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইরানের অন্য একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, তেহরান ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত।