বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে জোরালো ভূমিকা পালন করা উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি জানায়, গ্রেপ্তার অ্যাড. মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন উত্তরা এলাকায় আন্দোলন দমন-পীড়নে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় সাতটি ও উত্তরা পূর্ব থানায় পাঁচটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।
গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে সাবেক দুই সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব)। এ ছাড়া এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও আলোচিত ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
খুলনা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আব্দুস সালাম মুর্শেদী জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার। ২০২২ সালে খুলনার ফুলতলা এলাকায় হামলা ও হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার আবাসিক এলাকা থেকে নোয়াখালী-৪ সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, একরামুল করিমসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ২০১৩ সালে শ্রমিক দলের কর্মী মো. খোকনকে (২৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মামলাটি করা হয়। বাদী নিহত খোকনের বাবা মফিজুল হক।
এছাড়া, গুলশান থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দেশ ছেড়ে ভারতে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৎকালীন এই প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর তার সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের দুর্নীতি একের পর এক সামনে আসছে। সেই সঙ্গে চলছে মামলা ও গ্রেপ্তার।