মাসকো গ্রুপের এজিএমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ

Reporter Name / ৩৮ Time View
Update Time : শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন

রাজধানী মিরপুরের পল্লবীস্থ সাংবাদিক আবাসিক এলাকায় কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাসকো গ্রুপের এজিএম সাইদুল ইসলাম সোহাগ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রিয়াঙ্কা আত্মহত্যা করেছে বলে কথিত স্বামী সোহাগ দাবি করলে ও প্রিয়াঙ্কার পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজাচ্ছে সোহাগ। সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটা) থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পাস করে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মাসকো গ্রুপে জীবন শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়েটির স্বপ্ন ছিল নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরবেন। প্রিয়াঙ্কার পরিবারের দাবি কর্মজীবনের একমাস যেতে না যেতে মেয়েটির উপর দৃষ্টি পড়ে মাসকো গ্রুপের উপ মহাব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলাম সোহাগ সোহাগের । প্রিয়াঙ্কার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন সোহাগ । বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিরপুরের পল্লবীস্থ সাংবাদিক আবাসিক এলাকা ৪ নাম্বার বাড়ীতে (৬ষ্ঠ তলায়) স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেন সোহাগ। সেখানেই থাকতেন প্রিয়াঙ্কা। অবসর সময় কাটাতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল কথিত স্বামী পরিচয় দেওয়া সোহাগের। হঠাৎ করে বুধবার প্রিয়াঙ্কার পরিবারকে ফোন দিয়ে সোহাগ জানান প্রিয়াঙ্কা অসুস্থ। মেয়ের অসুস্থার কথা শুনে কুষ্টিয়া থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন মা দিলারা খাতুন। এসে দেখেন আদরের সন্তানটি আর পৃথিবীতে নেই এমন মৃত্যুর জন্য সাইদুল ইসলাম সোহাগের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন প্রিয়াংকার মা দিলারা খাতুন । প্রিয়াঙ্কার বড় বোন জানান সোহাগ স্যার ফোন দিয়ে বলে আপনার বোন অসুস্থ হাসপাতালে স্যালাইন দিয়ে রেখেছি আপনারা আসুন। আমি বলি প্রিয়াঙ্কার কাছে ফোনটা দেন কিন্তু উনি ফোনটা দেন নাই । পরে উনি আর ফোন ধরেন নাই। প্রিয়াংকার মা দিলারা খাতুন জানান আমার মেয়ে বিয়ের চাপ দেওয়াতে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোহাগের ফোনে ফোন দিলে তার স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে এক নারী জানান তার স্বামী ফোনটি বাসায় রেখে গেছেন। নিজের স্বামীর এমন অপকর্মের কথা জানতে চাইলে ফোন রেখে দেন সোহাগের স্ত্রীর পরিচয় দেওয়া ওই নারী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *