গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরাই তাদের পদত্যাগের জন্য চাপ দিচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি বাংলা। পদত্যাগের চাপ, হেনস্থা, অপমান ও আতঙ্কে আছেন অনেক শিক্ষক শিরোনামে লেখাটিতে কী পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে সেটি তুলে ধরা হয়েছে। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে ফাটল ধরেছে কি না, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
এই প্রতিবেদনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক আবু বাকের মুজমদারের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা আছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।
‘আমরা কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো ঘেরাও করি নাই এসব বিষয়ে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সবসময়ই বলেছি যে, শিক্ষার্থীরা যেন এ ধরনের কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত না হয়।’
‘তবে কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে, আমরা এটাও মনে করি। কিন্তু হেনস্থা করার মতো ঘটনা এসব কাম্য নয়,’ বলেন বাকের মজুমদার।
তিনি দাবি করেন, শুরুর দিকে যেসব ঘটনা ঘটছিল এখন সেগুলো কমেছে। এমনকি যারা এসব করছিল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কাউকে হেনস্তা না করার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিবিসি বলছে, বাস্তবতা হচ্ছে এরপরও এমন ঘটনা থেমে নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও নেই দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ।
এমনকি ভিসি ও অন্যান্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যকারিতাও তৈরি করতে পারেনি সরকার।